BENGALI, HISTORY, GEOGRAPHY, POLITICAL SCIENCE, COMPUTER APPLICATION, COMPUTER SCIENCE, MATH AND ENVIRONMENT STUDIES,

Responsive Ads Here

Sunday 10 July 2016

ভৌত বিজ্ঞানের কিছু গুরুত্ব পূর্ণ সুত্র - পদার্থ বিজ্ঞান সুত্র - Physical Law

ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)

মান বিজ্ঞানী ড: জর্জ সাইমন ওহম কারেন্ট, ভোল্টেজ এবং রেজিস্ট্যান্সের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করেন, এ সম্পর্কই ওহমের সূত্র (Ohm's Law) নামে পরিচিত।
কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে সুষম উষ্ণতায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহীর দুপ্রান্তের ভোল্টেজের  সমানুপাতিক।
অথবা
কোন পরিবাহির ভিতর দিয়ে স্থির তাপমাত্রায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহির দুপ্রান্তের বিভব পার্থক্যের  সমানপাতিক এবং রেজিস্ট্যান্সের বাস্তানুপাতিক।
ওহমের সূত্র মতে, কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V এবং প্রবাহিত কারেন্ট I হলে,
V α I
বা, V = IR         এখানে, R = পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স (সমানুপাতিক ধ্রুবক)

ওহমের সূত্রের সীমাবদ্ধতা:

ওহমের সূত্রকে যদিও ইলেকট্রিসিটির গুরু বলে মানা হয়, এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে
১. ওহমের সূত্র DC এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, AC এর ক্ষেত্রে নয়।
২. তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়।
৩. তাপমাত্রা স্থির থাকলেও সিলিকন কার্বাইডের ক্ষেত্রে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়।
৪. জটিল সার্কিট সমূহ ওহমের সূত্রের সাহায্যে সমাধান করা যায় না।

প্যাসকেলের বলবৃদ্ধিকরণ নীতি-

প্যাসকেলের সূত্রঃ আবদ্ধ পাত্রে তরল বা বায়বীয় পদার্থের কোনো অংশের উপর বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করলে সেই চাপ কিছু মাত্র না কমে তরল বা বায়বীয় পদার্থের সবদিকে সমানভাবে সঞ্চালিত হয় এবং তরল বা বায়বীয় পদার্থের সংলগ্ন পাত্রের গায়ে লম্বভাবে ক্রিয়া করে।
প্যাসকেলের সূত্রের গাণিতিক ব্যাখ্যা : বলবৃদ্ধিকরণ নীতি
 

আবদ্ধ তরল পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের উপর পিস্টন দ্বারা কোনো বল প্রয়োগ করলে এর বৃহত্তম পিস্টন  সেই বলের বহুগুন বেশি বল প্রযুক্ত হতে পারে। একে বল বৃদ্ধিকরণ নীতি বলে।
বড় পিস্টনের ক্ষেত্রফল যত বেশি হবে বলও তত বেশি অনুভুত হবে


সরল দোলগতিঃ

 কোনো বস্তুর ওপর ক্রিয়াশীল বল যদি সর্বদা বস্তুর গতিপথের মধ্য বিন্দুর অভিমুখী হয় এবং বিন্দু থেকে বস্তুর সরণ সমানুপাতিক হয়, তবে সে বলের অধীনে বস্তুর গতিকে সরল দোল গতি বলে।
যেমন- সরল দোলকের গতি, সুরশলাকার গতি সরল দোলগতির উদাহরণ।

দীপন ক্ষমতা কী ?

কোনো আলোক উৎসের দীপন ক্ষমতা বলতে আমরা বুঝি আলোক সৃষ্টির ব্যাপারে ঐ উৎস কত তীব্র অর্থাৎ একটা উৎস থেকে কী হারে আলোকশক্তি নির্গত হচ্ছে দীপন ক্ষমতা দ্বারা তা বুঝা যায়। কোনো বিন্দু উৎস থেকে প্রতি সেকেন্ডে কোনো নির্দিষ্ট দিকে একক ঘণকোনে যে পরিমান আলোক শক্তি নির্গত হয় তাকে ঐ উৎসের দীপন ক্ষমতা বলে।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে যে সাতটি রাশিকে মৌলিক রাশি হিসেবে ধরা হয়েছে দীপন ক্ষমতা তার একটি।
এর সংকেত I এবং একক ক্যান্ডেলা (Candela).

আর্কিমিডিস এর সূত্র-

সাইরাকিউসের সম্রাট হিয়েরো এক স্বর্ণকারকে দিয়ে একটি সোনার মুকুট তৈরি করেছিলেন। মুকুটটি হাতে পাওয়ার পর সম্রাটের মনে হলো এর মধ্যে খাদ মেশানো আছে। স্বর্ণকার খাদের কথা অস্বীকার করল। এতে সম্রাটের মনের সন্দেহ দূর হলো না। তিনি প্রকৃত সত্য নিরূপণের ভার দিলেন রাজদরবারের বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের ওপর। মহা ভাবনায় পড়ে গেলেন আর্কিমিডিস। সম্রাটের আদেশে মুকুটের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। আর্কিমিডিস ভেবে পান না মুকুট না ভেঙে কেমন করে তার খাদ নির্ণয় করবেন। কয়েক দিন কেটে গেল। ক্রমশই অস্থির হয়ে ওঠেন আর্কিমিডিস। একদিন দুপুরে মুকুটের কথা ভাবতে ভাবতে সব পোশাক খুলে চৌবাচ্চায় স্নান করতে নেমেছেন। পানিতে শরীর ডুবতেই আর্কিমিডিস লক্ষ্য করলেন কিছুটা পানি চৌবাচ্চা থেকে উপচে পড়ল।মুহূর্তে তার মাথায় এক নতুন চিন্তার উন্মেষ হলো। এক লাফে চৌবাচ্চা থেকে উঠে পড়লেন। তিনি ভুলে গেলেন তার শরীরে কোনো পোশাক নেই। সমস্যা সমাধানের আনন্দে নগ্ন অবস্থাতেই ছুটে গেলেন রাজদরবারে।
মুকুটের সমান ওজনের সোনা নিলেন। একপাত্র পানিতে মুকুটটি ডোবালেন। দেখা গেল খানিকটা পানি উপচে পড়ল। এবার মুকুটের ওজনের সমান সোনা নিয়ে জলপূর্ণ পাত্রে ডোবানো হলো। যে পরিমাণ পানি উপচে পড়ল তা ওজন করে দেখা গেল আগের উপচে পড়া পানি থেকে তার ওজন আলাদা। আর্কিমিডিস বললেন, মুকুটে খাদ মেশানো আছে। কারণ যদি মুকুট সম্পূর্ণ সোনার হতো তবে দুটি ক্ষেত্রেই উপচেপড়া পানির ওজন সমান হতো। এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো একটি বৈজ্ঞানিক সূত্র। ‘তরল পদার্থের মধ্যে কোনো বস্তু নিমজ্জিত করলে সেই বস্তু কিছু পরিমাণে ওজন হারায়। বস্তু যে পরিমাণে ওজন হারায় সেই পরিমাণ ওজন বস্তুর অপসারিত তরল পদার্থের ওজনের সমান।’ এই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আর্কিমিডিসের সূত্র নামে বিখ্যাত।আর্কিমিডিসের জন্ম আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৮৭ অব্দে। সিসিলি দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত সাইরাকিউস দ্বীপে। পিতা ফেইদিয়াস ছিলেন একজন জ্যোতির্বিদ। কৈশোর ও যৌবনে তিনি আলেকজান্দ্রিয়ায় গিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সে সময় আলেকজান্দ্রিয়া ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পীঠস্থান। ছাত্র অবস্থাতেই আর্কিমিডিস তার অপসারণ বুদ্ধিমত্তা ও সুমধুর ব্যক্তিত্বের জন্য সর্বজন পরিচিত হয়ে ওঠেন। তার গুরু ছিলেন ক্যানন। ক্যানন ছিলেন জ্যামিতির জনক মহান ইউক্লিডের ছাত্র। পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি চেয়েছিলেন গণিতবিদ হবেন। অঙ্কশাস্ত্র, বিশেষ করে জ্যামিতিতে তার আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। ইউক্লিড, ক্যানন যেখানে তাদের বিষয় সমাপ্ত করেছিলেন আর্কিমিডিস সেখান থেকেই তার কাজ আরম্ভ করেন।


No comments:

Post a Comment

বিজ্ঞাপন